যে কোনো কাজ ফলপ্রসূ হতে হলে সবসময় প্রণালীবদ্ধতা মেনে চলতে হয় , কারণ মানুষের অধম শত্রুই হলো এই শৃঙ্খলতাহীনতা।–
হেসিয়ড, গ্রীক কবি, ৮ম শতক, (খ্রীঃপূঃ)
কর্তব্য কর্মের তালিকা—কী, কেন, এবং কীভাবে
করণীয় কাজের তালিকা প্রস্তুত করা
কীঃ
তালিকা প্রস্তুতঃ বিভিন্ন কাজের মধ্যে গুৰুত্বপূর্ণ বলে ঠিক করে রাখা তিনিটার থেকে পাঁচটা কাজ নির্বাচন করে সহজে দেখতে পাবার মতো লিখে রাখো যাতে কোন কাজের পর কোন কাজটা কখন করতে হবে তাই ভাবতে ভাবতে সময় নষ্ট না করেই এগুনো যায় ।
সেঁটে রাখো লেখাটা একটা বুলেটিন বোর্ডে লাগিয়ে এমন জায়গাতে রাখো যাতে আসতে যেতে চোখে পড়ে এবং তোমাকে প্রাধান্য অনুসারে ধার্য করা সময়ের মধ্যে কাজগুলো সম্পন্ন করতে উসকে যেতে থাকে ।
সংগঠিত করাঃ কর্মসূচী প্রস্তুত এবং নির্ধারণের জন্যে এ এক সাংগঠনিক কৌশল, যিটিকে বৈদ্যুতিন কেলেণ্ডার তৈরি করতে , ই-মেইল, এস এম এস, তাৎক্ষণিক বার্তাবহন, কৌশলগত ব্যবস্থা এবং অন্যান্য যোগাযোগের বেলাও ব্যবহার করা যেতে পারে।
একটা অকরণীয় কাজের তালিকাও হতে পারে যাতে কাজের কনো সময়সূচী নির্ধারণ করা থাকে না, অথচ বিষয়টি তুমি ভুলতেও চাও না ।
এরকম ব্যবস্থা তোমাকে কালনুক্রমের অভিজ্ঞতা দেবার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথাও মনে করিয়ে দেবে যাতে করে শেষ অব্দি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তোমার সব কাজ সম্পন্ন করতেই সহায়ক হবে।( কিন্তু এই তালিকা মূল তালিকার বাইরের হবে, ভেতরের নয় ।)
কেনঃ
মানসিক চাপ কমানোঃ বিষয়ের প্রাধান্য অনুযায়ী করণীয় কাজগুলোকে তোমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে ভেবে আপন করে নিতে পারলে মানসিক চাপের থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।
নিজে নিজের কাজ মনে রাখাঃ কাজের তালিকা ভালো জায়গাতে এরকম চোখে পড়বার মতো করে লিখে রাখলে এ তোমাকে তোমার দরকারি কাজ সেরে ফেলতে সারাক্ষণ মনে করিয়ে দেবে।
পদ্ধতিগত কৌশলে কাজ সারাঃ কার্যসূচীটা দেখার সঙ্গে সঙ্গে তোমার মনে কাজটা যে করতে হবে সে ভাবটা আসবে। তখন কীকরে, কিসের সাহায্যে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবে সেই পরিকল্পনা মনে আসবে।
এরকম ব্যবস্থাকে তুমি আনন্দদায়ক খেলা হিসেবেও নিতে পারোঃ মানসিক চাপ বলে ভাবতে ছেড়ে দিলেই মন হালকা হয়ে আসবে আর তা তোমাকে উৎসাহিত করবে। কাজটা শেষ করবার আনন্দদায়ক এক অনুভূতি ক্রিয়া করতে শুরু করবে আর তোমাকে সমাপ্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কামটির সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো ৰূপ বা প্রতিকৃতি নতুবা ছবির সংযোজনও তোমাকে কাজটি উপভোগ করতে শেখাবার সঙ্গে সঠিক উপস্থাপনাতেও সাহায্য করবে।
কী করেঃ
উপরের সাধারণ অনুশীলনটি কাজ শনাক্ত করবার জন্যেও ব্যবহার করো।
কাজের প্রাধান্য অনুসারে কার্যপন্থার অনুক্রম ঠিক করে যেখানে রেখেছিলে সেটি দেখে বার বার সংশোধন সংযোজন করে যাও।
বিষয়গুলো বৈদ্যুতিন কেলেন্ডারে, ই মেইলে এস এম এসে তাৎক্ষণিক বার্তাবহন রূপে, কৌশলগত রূপের সঙ্গে অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা রূপেও রেখো ।
বিনিময় কর.। তোমার কার্যসূচীর পরিকল্পনার বিষয়ে ভাব বিনিময় করো। তোমার বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা সহপাঠীকে তোমার কার্যপন্থা সম্পর্কে জানিয়ে রেখো; যাতে তুমি কোথায় আছো, কী করছ –তাদের জানা থাকে আর দরকারে সহযোগিতা করতে পারে ।
কোনো কাজ বা বিষয় সারা হলে সেটি লিখে রাখা তালিকাতে কেটে যাও এবং সমাপ্তির আনন্দ উপভোগ করো।
তোমার দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রমণিকাতেও এভাবে করণীয় কাজের তালিকা করে ফেলো ।