Kiosk অধ্যয়ন গাইড আৰু কৌশল
একটা সমস্যা এবং তার সমাধান যেকোনো একটার সঙ্গে কোনো প্রকারে জড়িত ব্যক্তি, সমষ্টি, সংগঠন ইত্যাদি কিন্তু অংশীদার হতে পারে। কিন্তু আরম্ভ হবে তোমার নিজের থেকেই । এ নিয়ে যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা কোনো ধারণা দিতে পারে সেই সব কাছের লোকদের চিহ্নিত করাটা জরুরি।
প্রামাণিক তথ্য-পাতি
অবস্থার পরিসীমা বা বাধ্যবাধকতাকে পরিবর্তন করাটো বড় জটিল। এর মধ্যে টাকা পয়সার সম্পর্কিত বা অন্যান্য সুযোগ সম্পদের কথাটাও থাকবে। যদি সমস্যা সমাধানের বেলা খুব বেশি বাধ্য-বাধকতা বা সীমাবদ্ধতা থাকে তবে সেগুলো নিজেই আবার এক একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে।
তোমার সফলতার জন্যে যারা সিদ্ধান্ত নেন , সহযোগী কমিটি , দল বা অন্যান্য শক্তিশালী গোষ্ঠীর মতামত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। মতামতের বেলা সত্য, পক্ষপাত বা যুক্তিহীন ধারণাগুলোকেও বিবেচনার আওতাতে নিয়ে আসা দরকার।
সমস্ত রকম তথ্য-পাতি গোটানো না হওয়া অব্দি অনুভব বা ধারণাগুলো সমস্যাটোনে নেড়েটেরে দেখতে সাহায্য করে। কিছু কথা বিশ্বাস থেকেই গ্রহণ করে নিতে হয় । অবশ্যে এমন অনুভব বা ধারণার ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। তাই, যেভাবে আছে সেভাবে নিয়ে কাজ শুরু করে এগুতে এগুতে ভুল দেখলেই সেই বিশ্বাস সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে এগুনো উচিত।
তোমার সমস্যাটিকে নানা দিক থেকে পর্যবেক্ষণ করো , বিচার –বিবেচনা করো । আগে ভাবোনি এমন নতুন দৃষ্টিকোনের থেকে বিচার করে দেখো। মাথা খাটিয়ে বা তাড়াতাড়ির মধ্যে ভেবে বের করা বিকল্পগুলো কখনো হালকা বা মনে হতে পারে যেন ওজন নেই। কিন্তু ঠিক তার জন্যেই কখনোবা সাঙ্ঘাতিক একটা উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ার পথ খুলে যেতে পারে। বিকল্পগুলোর একটা তালিকা যদি করো তবে তার সম্ভাবনার দিকেও একটা খোলা মন রেখে ভাবনা চিন্তা করতে থেকো।
সম্ভাব্য বিকল্পগুলোর একটা তালিকা একটা করে নিয়ে নিরপেক্ষভাবে তার মূল্যায়ন করো । তা যতই আবেদনময় বা বিস্বাদপূর্ণ হোক।
সমস্ত দিক বিবেচনা করো । ভালো সমাধান একটা বেরিয়ে যাওয়াটা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু কাজ দেবে না যদি তার জন্যে দরকারি সুযোগ সম্পদ না মেলে, যদি যারা একে গ্রহণ করবার তারা না করে, অথবা যদি এ আবার আরেক নতুন সমস্যা ডেকে আনে।
Thomas Saaty's Analytical Hierarchy Matrix.
টমাচ স্যাটি’র Analytical Hierarchy Matrix
অনুযায়ী উলম্বে ও আনুভূমিক কোঠাতে বিকল্পগুলোকে তালিকাবদ্ধ করো । এখন বিকল্প ‘ক’এর থেকে শুরু করে কৌণিকভাবে প্রতিটি ঘরের মধ্যি দিয়ে গিয়ে , ছবিতে যেমন দেখানো হয়েছে তেমনি,প্রতিটি বিকল্পকে বাকি ক’টির সঙ্গে তুলনা করে যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করো--
বিকল্পগুলো |
মুঠ |
স্থান |
||||
ক |
খ |
গ |
ঘ |
|||
বিকল্পক |
০ |
০ |
০ |
০ |
৪র্থ |
|
বিকল্পখ |
১ |
০ |
১ |
২ |
২য় |
|
বিকল্পগ |
১ |
১ |
১ |
৩ |
১ম |
|
বিকল্পঘ |
১ |
০ |
০ |
১ |
৩য় |
যখন বিবেচনাধীন একটা বিকল্পের তুলনামূলকভাবে অন্য বিকল্প ক’টির থেকে বেশি মূল্য রয়েছে বলে মনে হবে | তখন তাকে ১ নম্বর দেবে। |
যখন একটা বিকল্পের তুলনামূলকভাবে অন্য বিকল্প ক’টির থেকে | কম মূল্যবান বলে মনে হবে তখন তাকে ০ দেবে |
এখন কোনটা কত নম্বর পেল যোগ করে দেখো। যেটি বেশি নম্বর পাবে উপযুক্ত পদ্ধতি অনুযায়ী সেইটিই গুরুত্বের হিসাবে ১ম স্থানে থাকবে। উপরে দেখানো পদ্ধতিতে বিকল্প ‘গ’ প্রথম স্থান লাভ করে গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত করেছে।
যথাযোগ্যতা |
সম্ভাব্যতা |
শিথিলতা |
মুঠ |
|
বিকল্প ক |
||||
বিকল্প খ |
||||
বিকল্প গ |
||||
বিকল্প ঘ |
এই পদ্ধতি মতেও বিকল্পের গুরুত্ব নির্ণয় করা যায়। ১এর থেকে ৩ অব্দি মূল্য স্থির করো...